রাকিবুল হাসান আহাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও মহানগর প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। রবিবার (১৫ আগস্ট ২০২১) তারিখ সকাল ১১.১৫ মিনিটের সময় জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সার্কিট হাউজ, ময়মনসিংহস্থ স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি শিবলী সাদিক খান সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান আরজু, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান বাবুল সাধারণ সম্পাদক বদরুল আমীন, একই সময় মহানগর প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সভাপতি শিবলী সাদিক খান সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সুলতান মাহমুদ, হুমায়ূন কবীর, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম, মহন,শাহ রেজাউল করিম রেজা, সৈয়দা রোকেয়া আফসারী শিখা, রতন চন্দ্র দে, দীলিপ ঘোষ তপস ঘোষ প্রমুখ স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি শিবলী সাদিক খান, শাহ রেজাউল করিম রেজাসহ নেতৃবৃন্দ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় শিবলী সাদিক খান বলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক চক্র ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ব্লুপ্রিন্ট রচনা করে কুচক্রীরা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়।

৭১-এর যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি স্তব্ধ করে দিয়ে উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এই কিলিং মিশন চালায় তারা। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ফলে বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে ২০০১ সাল থেকে থেমে থাকা বিচারপ্রক্রিয়া আবারো শুরু হয়। উচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে ১২ আসামির ফাঁসির রায় বহাল থাকে। ২০১০ সালে খুনিদের মধ্যে পাঁচ জনকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এরপর ২০২০ সালে আরো এক জন দণ্ডিত খুনিকে গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। একজন বিদেশে মারা গেছে। বাকি পাঁচ জন ফাঁসির আসামি আত্মগাপন করে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।